Election Commission Of India: SIR-এর পর ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ গেলে কী করবেন?

Election Commission Of India: SIR-এর পর ভোটার তালিকা থেকে আপনার নাম বাদ গেলে কী হবে?

Election Commission Of India: SIR-এর পর ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ গেলে কী করবেন?


সংক্ষেপে: SIR (Special Intensive Revision) হচ্ছে ভোটার যাচাই-প্রক্রিয়া — শীর্ষ আদালতের নির্দেশ ও নির্বাচন কমিশনের নীতিমালার আলো‌কে খসড়া ও চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। এতে যদি কারও নাম খসড়া বা চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ যায়, তাহলে কীভাবে আবেদন করতে হবে, কোন নথি লাগবে এবং কী সময়সীমা আছে — নিচে ধাপে ধাপে বলা হলো।

১) SIR কী এবং কীভাবে কাজ করে?

SIR (Special Intensive Revision) হল নির্বাচন কমিশন পরিচালিত একটি নিবিড় ভোটার ভেরিফিকেশন ড্রাইভ — যাতে বৈধ ভোটারদের তালিকা যাচাই ও সংশোধন করা হয়। প্রক্রিয়াটি সাধারণত বুথ লেভেলে চলে — BLO (Booth Level Officer) তোমাদের বাড়িতে এসে এনুমারেশন ফরম পৌঁছে দেবেন এবং তার ভিত্তিতে তালিকা আপডেট করা হবে।

২) প্রাথমিক ধাপ: এনুমারেশন ফরম ও খসড়া তালিকা

  • BLO প্রতিটি বাড়ির সদস্যকে ২টি এনুমারেশন ফরম দেবেন।
  • তুমি ঐ ফরম সঠিকভাবে পূরণ করলে BLO এক কপি রেখে যাবে এবং আরেকটি সংগ্রহ করবে।
  • এনুমারেশন শেষ হলে নির্বাচন কমিশন খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে — সেখানে নিজের নাম মিলিয়ে নাও।
  • দ্বিতীয় পর্যায়ের SIR-এ খসড়া তালিকা সাধারণত একটি নির্দিষ্ট তারিখে প্রকাশিত হয় (প্রসঙ্গভিত্তিক) — এরপর অভিযোগ জানাতে সময় দেওয়া হয়।

৩) খসড়া তালিকা থেকে নাম বাদ গেলে কী করবেন?

খসড়া তালিকা থেকে নাম না থাকলে আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই — প্রথমে BLO-র সাথে যোগাযোগ করুন। BLO নির্দেশনা অনুযায়ী তোমাকে কিছু নথি জমা দেওয়ার জন্য বলা হতে পারে। অনলাইনে আবেদন করার সুবিধাও নির্বাচন কমিশন দিচ্ছে (যেখানে প্রযোজ্য)।

৪) চূড়ান্ত তালিকা থেকে নাম বাদ গেলে কী হবে? (কাজ করতে কী কী)

  1. ভয় পাবেন না: খসড়া বা চূড়ান্ত তালিকায় নাম না থাকলে নাগরিকত্ব-চ্যালেঞ্জ স্বয়ংক্রিয়ভাবে উঠে আসে না — SIR নাগরিকত্বের প্রশ্ন তোলার প্রক্রিয়া নয়।
  2. প্রয়োজনীয় নথি সংগ্রহ করুন: কমিশন সাধারণত ১১ ধরনের নথির কথা বলেছে — তবে সাধারণভাবে নিম্নলিখিতগুলোর মধ্যে অন্তত একটি থাকা দরকার: জন্ম সনদ, পাসপোর্ট, মাধ্যমিক সার্টিফিকেট, স্থায়ী ঠিকানার সার্টিফিকেট, পেনশন/সরকারি কর্মচারীর পরিচয়পত্র, SC/ST/OBC সার্টিফিকেট ইত্যাদি।
  3. BLO/ERO/ARO–র সঙ্গে যোগাযোগ: প্রথমে BLO-র মাধ্যমে ERO/ARO-র কাছে বিষয়টি তুলুন এবং শুনানির জন্য আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু করুন।
  4. আফিশিয়াল অভিযোগ জানানো: যদি স্থানীয় পর্যায়ে সমাধান না হয়, তাহলে জেলাশাসক এবং পরবর্তী পর্যায়ে CEO (Chief Electoral Officer) বা নির্বাচন কমিশনের কাছে আনুষ্ঠানিক প্রতিকার আবেদন করা যায় — এটা আইনি রুট অনুযায়ী করা হয়।
  5. সময়সীমা লক্ষ করুন: নির্বাচন-সংক্রান্ত সময়সীমা গুরুত্বপুর্ণ — কিছু ক্ষেত্রে মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিনের ১০ দিন আগে পর্যন্ত আবেদন করার সুযোগ দেয়া থাকে (সূত্রভিত্তিক)।

৫) পিআইবি (PIB) কী বলেছে?

৩০ সেপ্টেম্বর একটি বিবৃতিতে প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (PIB) জানিয়েছে — বিহারের এসআইআরের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী প্রচুর নাম আপডেট ও মুছে ফেলা হয়েছে, পাশাপাশি প্রত্যেক যোগ্য ভোটার যাতে বাদ না পড়ে তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অভিযোজিত আইনি পথ (জেলা প্রশাসক → CEO → নির্বাচন কমিশন) অনুসরণ করে প্রতিকার দাবি করা যায়।

৬) কোন নথি কাজে লাগবে (সংক্ষিপ্ত তালিকা)

  • জন্ম সনদ / মাধ্যমিক সার্টিফিকেট
  • পাসপোর্ট
  • স্থায়ী ঠিকানার সার্টিফিকেট (জেলা কর্তৃপক্ষ ইস্যুকৃত)
  • পেনশন অর্ডার / সরকারি কর্মচারীর পরিচয়পত্র
  • SC / ST / OBC সার্টিফিকেট (যদি প্রযোজ্য)
  • ভোটার কার্ড (EPIC), আধার (ঐচ্ছিক হলেও উপকারী)

৭) ব্যবহারিক টিপস (Quick tips)

  1. খসড়া তালিকা দেখার পর অবিলম্বে নিজস্ব তথ্য যাচাই করুন।
  2. যদি নাম না থাকে, তবে দ্রুত BLO-কে অবহিত করুন এবং নির্দেশনা মেনে নথি জমা দিন।
  3. অনলাইনে আবেদন করার আগে সংশ্নিষ্ট ওয়েবসাইট (CEO, राज्य নির্বাচন কমিশন) থেকে অফিসিয়াল নির্দেশিকা পড়ে নিন।
  4. সম্ভব হলে সমস্ত নথির ফটোকপি জোগাড় করে রাখুন — দ্রুত প্রয়োজন হতে পারে।

সূত্র: নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India), প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো (PIB) এবং সংশ্লিষ্ট অফিসিয়াল নির্দেশিকা। আরও বিস্তারিত তথ্য বা সাহায্যের জন্য Election Commission of IndiaCEO West Bengal ওয়েবসাইট দেখুন।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ